লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে সরকারী গোডাউনের মাঠ দখল করে দোকান ও অফিস ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এসব দোকান ও অফিস উচ্ছেদ করে সরকারী জায়গা মুক্ত করার জন্য রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আজাহার আলী মন্টু নামের এক ব্যক্তি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের খাদ্য শস্য মজুদ রাখার জন্য মহিষখোচা বাজারে একটি এলএসডি গুদাম নির্মান করা হয়। গুদামটি সরকারী কাজে ব্যবহার না হলেও তা মাসিক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে রাজস্ব আদায় কর আসছেন সরকার। আর ওই গুদাম ঘরটি সরকারের নিকট লিজ নিয়েছেন মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী।
এদিকে সেই সরকারী গুদামের সামনের জায়গাটি জবর দখল করে দোকান ঘর তৈরী করেন মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর আলম। শুধু নুর আলমই নয়। দখলের তালিকায় রয়েছেন মহিষখোচা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রেজা ওরফে কাঠ ব্যবসায়ী রেজা, মহিষখোচা ইউনিয়নের দফাদার জাহেদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, গুদামের রাস্তাসহ পুরো মাঠটি এবং গুদামে পাশে রাখা জমি পর্যাক্রমে দখলে নিয়েছেন তারা। ফলে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সরকারী শস্য গুদামটি। সরকারের এ জমি উদ্ধার করে এলএসডি গুদামটি সংরক্ষনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগকারী অবসর প্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আজহার আলী মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, এলএসডি গুদামের জমিটা দখলে নিয়েছেন কতিপয় ব্যক্তি। সেখানে তারা ঐক্যজোট হয়ে দোকান ঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়েছেন। সরকারী জায়গা জবর দখল করে অফিসও করেছেন। এভাবে দীর্ঘ দিন ধরে বেদখল হয়ে পড়েছে সরকারী জমি। এটি উদ্ধার করে গুদামটি সংরক্ষন করতে ইউএনও বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ দিয়েছি।
দখলকারী মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নুর আলম বলেন, গুদামের বাহিরটা ফাঁকা ছিল তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলে আমরা দোকান ঘর করেছি। সরকার চাইলেই আমরা জায়গা ছেড়ে দিবো। তবে কোন লিজ নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গুদামটি ভাড়া দেয়া আছে। তার মাঠ ও পাশের খোলা জায়গাটি অনেকেই জবর দখল করে গুদামকে অরক্ষিত করে ফেলেছেন। জবর দখলকারীদের অনেকবার সড়ানোর জন্য চাপ দিলেও কাজ হয়নি। সরকারী জমি উদ্ধার করে গুদামটি সংরক্ষন করার দাবিও জানান তিনি।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জবর দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারী সম্পদ উদ্ধার করা হবে।