কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান হিসাব রক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য বরাদ্দকৃত ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ওই অফিস সহকারী অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। সরকারী অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের ঘঁটনায় সরকারী শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিক্ষা অফিসের একটি সুত্র জানায়, হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন গত ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য ১৭৫ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দের ২ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার এবং স্কুলের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে আতœসাৎ করেন।এঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানায়, আমরা আমাদের স্কুলের বিদ্যুৎ বিল প্রতিমাস পকেট থেকে পরিশোধ করি। পরে সরকারের বরাদ্দ আসলে ওই বিলের কাগজ আমরা অফিসে জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করি।কিন্তু আমরা বিল নিতে অফিস এসে জানতে পারি টাকা উত্তোলন করে পরিশোধ দেখানো হয়েছে। এভাবে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন বলেন, গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে একটা আপোষরফা হয়েছে।কি আপোষরফা হয়েছে তা তিনি বলতে রাজি হননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরীফা আক্তার বলেন,আপনারা যা শুনেছেন তা সবই সত্য। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই অফিস সহকারী রহুল আমিন সরকারী টাকা উত্তোলন করে নিজের কাছে রাখার কথা স্বীকার করেছেন। বুধবার আমার অফিসে এসে উক্ত টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা রয়েছে। যদি সে আজকের মধ্যে টাকা ফেরৎ না দেয় তাহলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।