পঞ্চগড় প্রতিনিধি: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) চতুর্থ বার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলায় আবারো তাপমাত্রা এক অংকে নেমে এসেছে।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ড়ের তেঁতুলিয়ায়। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পুরোপুরি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। এতে করে উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘনকুয়াশায় দুর্ভোগে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
তাপমাত্রা কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। এখন দিনের বেলায় কখনো কখনো দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পথ ঘাট। দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের উত্তাপ মিললেও বিকেল গড়াতেই তা কমে আসে। সন্ধ্যা নামলেই উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। কমে আসে তাপমাত্রা। মাঝরাতে হাড়কাঁপা শীত অনুভূত হয়। শীতের কাঁপুনি থাকে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। তবে সূর্যের দেখা মিললে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উত্তাপও বাড়ে।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ২২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, শুত্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে এ উপজেলায় গত ৪ দিন ধরে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে বলে তিনি আরো জানান।