কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে বিয়ের ৪ মাসের মধ্যেই স্বামীর বাড়ীতে মারা গেছে এক গৃহবধু। স্বামীর বাড়ীর লোকজন একে ফাঁসিতে বললেও মৃতের শরীরে ঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হওয়ায় থানায় জানিয়েছেন হতভাগ্য ওই গৃহবধুর ভাই।
২৬ ডিসেম্বর শনিবার জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড় সংলগ্ন ভরতের ছড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, ওই উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কেদার গ্রামের ছামাদ খাঁনের কন্যা সাবিনা ইয়াছমিন তমা (১৯) এর সাথে গত ৪ মাসে বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের ভরতের ছড়া গ্রামের আল আমিন এর পুত্র রফিক মিয়া (২০)’র বিয়ে হয়।
এরপর থেকে তার স্বামী মাদক ও জুয়ায় আসক্ত রফিক মিয়া বিভিন্ন সময় তাকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত। এতে রাজী না হলে তাকে শারীরিক নির্যাতন করত সে। এটি মাঝে মাঝে তমার বাবার বাড়ীর লোকজনের কানে আসলেও মেয়ের সংসারের কথা ভেবে তারা কিছু বলেনি। মৃতের বড় ভাই শোকাচ্ছন্ন আব্দুল হাকিম কান্না জড়িত কন্ঠে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে আমরা জানতে পারি আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তার মৃতদেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের সন্দেহ হলে পুলিশকে জানাই। পরে রাত নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ থানায় নিয়ে যায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য আজ রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।