কীর্ত্তিকা সেন বিল্টু (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রতীক বরাদ্ধের আগে জমে উঠেছে নাগেশ্বরী পৌরসভা নির্বাচন। প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। করছেন উঠোন ও খুলি বৈঠক। দিচ্ছেন এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারী নাগেশ্বরীসহ ৬১ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে প্রার্থীতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ হোসেন ফাকু, ফজলুল হক ফজলু, আওয়ামীলীগ মনোনীত ফরহাদ হোসেন ধলু সওদাগর, বিএনপির শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির বর্তমান মেয়র আব্দুর রহমান মিয়া ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রফিকুল ইসলাম। ওয়ার্ড কমিশনার পদে প্রার্থীতা করছেন ১নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৯নং ওয়ার্ডে ৫ জনসহ মোট ৪৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কমিশনার পদে ১,২,৩নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডে ৫ জনসহ মোট ১২ জন প্রার্থী।
গত ২২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে প্রতীক বরাদ্ধের আগে প্রত্যেক প্রার্থীই তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নেমেছেন প্রচারণায়। কর্মীদের একাধিক গ্রুপে বিভক্ত করে ভোটের প্রচারণায় কাজে লাগিয়েছেন তারা। একদল কর্মী প্রার্থীর সাখে যোগ দিচ্ছেন উঠোন ও খুলি বৈঠকে। অন্যরা পালা করে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীর পক্ষে। নির্বচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তাদের তৎপরতায় ততই সরগরম হচ্ছে ভোটের মাঠ। প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় প্রত্যেক ওয়ার্ডে উঠোন, খুলি বৈঠক অথবা নির্বাচনী পথসভা করছেন কোন না কোন মেয়র অথবা কমিশনার প্রার্থী। ফলে অনেক রাত পর্যন্ত মানুষের ভীর লেগে থাকে পাড়া-মহল্লার মোড়ে অবস্থিত ছোট ছোট চায়ের দোকানে। সেখানেই সাধারন ভোটাররা প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে একে অপরকে বোঝানোর চেষ্টা করে কোন প্রার্থী তাদের মতে যোগ্য। কে এলাকার উন্নয়ন করে মানুষের সুখে-দু:খে পাশে থাকবেন। শুধু চায়ের দোকান নয় এখন সর্বত্রই চলছে এ আলোচনা।