বর্তমানে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ছাড়া আর কোনো স্তরে ভ্যাট নেই। এই সুবিধা দুই দফা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ মেয়াদ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভোজ্যতেলের দাম যেন নতুন করে না বাড়ে, তাই ভ্যাট প্রত্যাহারের সুবিধা আরো ৩ মাস বহাল রাখা হতে পারে।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী জুন পর্যন্ত এই সুবিধা বাড়াতে গত ২০ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত (কাঁচামাল) সয়াবিন ও পামওয়েলের দাম কমলেও ডলারের দাম বাড়ার কারণে দেশীয় বাজারে পণ্যটির মূল্য কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য এবং সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির বর্তমান মেয়াদ ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পুনরায় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি পেয়েছি। শিগগিরই এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারেও দামে প্রভাব পড়ে।
ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ কিছুটা কমাতে গত ১৪ মার্চ এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে। এর দুইদিন পরে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। তখন এর মেয়াদ ঠিক করা হয় ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে ৩ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভ্যাট মওকুফ সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়।