পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে বিদায়ের সুর ভাসছে মণ্ডপগুলোতে। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব।
শারদীয় এ উৎসবের শেষ দিনে তাই সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করছেন ভক্তরা। প্রতিমাগুলোকে বরণ করে নারীরা সিঁদুর খেলার জন্য ভিড় করছেন। এরপর আরেকবার পূজা শেষে বিসর্জন দেয়া হবে প্রতিমাগুলোকে।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মহানবমীর দিনেও রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তরা অঞ্জলি ও ভোগ দিয়েছেন। নবমী পূজা ও সন্ধ্যা আরতি শেষে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করে প্রতিটি মণ্ডপে। বিজয়া দশমীতে আজ (বুধবার) ভক্তরা বিদায় দেবেন দেবী দুর্গাকে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দিয়েছে।
সনাতন শাস্ত্রমতে, নবমী তিথিতে রাবণ বধের পর রাজা শ্রী রামচন্দ্র বিহিত পূজা করেছিলেন। নীলকণ্ঠ ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় নবমী বিহিতপূজা। নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়। তাই শাপলা, শালুক আর বলিদানের মাধ্যমে দেবীর পূজা হয়েছে নবমীতে। নীল অপরাজিতা ফুল মহানবমী পূজার বিশেষ অনুষঙ্গ। নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেয়া হয়। ১০৮টি বেলপাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এ যজ্ঞ করা হয়।
সমসনাতন বিশ্বাসে-বোধনে ‘অরুণ আলোর অঞ্জলি নিয়ে উমাদেবীর আগমন ঘটে। টানা পাঁচ দিন মৃণ্ময়ীরূপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে আজ ফিরে যাবেন কৈলাস শিখরে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে।’ ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমাঃ’ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দূর কৈলাস ছেড়ে পিতৃগৃহে আসেন গজে চড়ে। আজ বিজয়া দশমীতে এয়োস্ত্রীদের দেবীবরণ ও সিঁদুর খেলার পর বিদায় নেবেন আবারও নৌকায়।