সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে কৃষ্ণা বিশ্বাস (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের মা দাবি করছে তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে।
নিহত গৃহবধূ উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের তাপস বিশ্বাসের স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের মৃত কালিপদ বিশ্বাসের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, কৃষ্ণার স্বামী তাকে ভীষণ সন্দেহ করতো। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। রবিবার সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার কিছু সময় পরে তাপসের ভাবী ঘরের আড়ার সাথে কৃষ্ণার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে থানায় খবর দেয়। সুযোগ বুঝে শিশু সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায় তাপস। থানার উপ পরিদর্শক আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
নিহত কৃষ্ণা বিশ্বাসের মা কৌশলা রানী জানান, তার মেয়ে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এমন সন্দেহ করতো তার মেয়ের জামাই তাপস। তিনি ধারণা করছেন পারিবারিক কলহের জের ধরে বৃহস্পতিবার কৃষ্ণাকে গলা টিপে হত্যা করেছে তার স্বামী। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে তার মেয়ের মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মেয়েকে হত্যার পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে তার মেয়ের জামাইসহ পুরো পরিবার।
তিনি আরো জানান, তাদের কন্যা কৃষ্ণা বিশ্বাসের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে তাপসের বিয়ে হয়। তাপস দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল। গত ৬ মাস আগে বাড়িতে ফিরে মুকুন্দপুর গড়ের হাটখোলা বাজারে একটি চায়ের দোকান পরিচালনা করছে। কৃষ্ণাকে সন্দেহ করে প্রতিনিয়ত শারীরিক নির্যাতন চালাতো সে।
এ বিষয়ে থানার উপ পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করার সময় নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দেখা মেলেনি বলে জানান তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।