কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: নতুন বই পায়নি কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার জাতীয়করণকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা। তাই ১ জানুয়ারী দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব পালিত হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় নতুন বই নিতে গিয়ে ফিরে গেছে খালি হাতে।
জাতীয়করণের ঘোষণা হওয়ার পরে মাত্রাসায় সুপারিনটেেন্ড পদ নিয়ে শিক্ষকরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্ধে জড়িয়ে পরে। যা এখনো চলমান। এ দুটি গ্রুেপর নেতৃত্বের একজন শাহানুর আলম। তিনি নিজেকে ওই মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ড দাবী করে আসছেন। তার নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ করে জনৈক আব্দুল খালেকের বাড়ীতে জমা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারী নতুন বই নিতে এসে খালি হাতে বাড়ী ফিরে যায়। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শনিবার ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে নতুন বই নেওয়ার জন্য বিভিন্ন শ্রেনীর অনেক শিক্ষার্থী অপেক্ষা করছে।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিরিনা খাতুন ও সোহাগ মিয়া জানায়, এরশাদুল স্যার নতুন বই দেওয়ার কথা বলে পুরাতন বই গুলো ফেরৎ নিয়ে এসেছেন। এখনো নতুন বই পাইনি।
অভিভাবক মোফাজ্জল হোসেন জানান, গতকাল আমার মেয়ে বই নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যায়। বাড়ি ফিরে নতুন বইয়ের জন্য কান্নাকাটি করছিল।
এ বিষয়ে সুপারিনটেনডেন্ড দাবীদার শাহানুর আলমের মুঠোফেনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন আমিনুল ইসলাম। তিনিও নিজেকে ওই মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট দাবী করে অাসছেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের চাহিদা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বই পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই জানান, ওই প্রতিষ্ঠানে দুই ব্যক্তি সুপারিনটেনডেন্ট পদের দাবীদার। এ কারণে প্রকৃত সুপারিনটেনডেন্ট কে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ৭ জানুয়ারীর মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। না হলে আমি নিজেই গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করবো।