দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ ভারতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই আছে। আসলে হলুদ দুধকে বলা হয় সোনার দুধ। কারণ এর এতটাই উপকার। সেই কারণেই এই পানীয় মানুষ খেতে পারেন।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, দুধে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। এই পানীয়ে আছে ভিটামিন ও মিনারেল। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি থেকে শুরু করে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস থাকে এই খাবারে। তাই এই পানীয় শরীর সুস্থ রাখতে পারে। এমনকী দেখা গিয়েছে যে হাড়ের শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকরী হল দুধ। তাই এই পানীয় আপনি খান নিয়মিত।
দুধ এবং হলুদ, এই দুয়ের মিশ্রন আমাদের শরীরের অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। যা আমাদের শরীরেকে বিভিন্ন ইনফেকশন এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। জেনে নিন এই হলুদ দুধের আরও উপকারিতাগুলো-
১. কাশি, সর্দি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এই পরিস্থিতিতে আপনি অবশ্যই আপনি খেতে পারেন দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে।
২. আসলে ইমিউনিটি বাড়িয়ে নেওয়াটা এই সময়ে খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে ইমিউনিটি বাড়িয়ে নিতে চাইলে খেতে পারেন দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে।
৩. হাড়ের ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে এই দুধ। তাই আর্থ্রাইটিস থাকলে আপনি অবশ্যই এই পানীয় খান।
৪. পেটের সমস্যা তো বাঙালিদের মধ্যে লেগেই থাকে। সেক্ষেত্রে পেটের সমস্যা মেটাতে গেলে হলুদ দুধ খেয়ে নেওয়াই যায়। তবেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
৫. শরীরে কিছুটা সময় পরপর জমতে পারে টক্সিন। এবার তা কিন্তু বের করে দিতে হবে। এই বিষ বের করে দিতে পারে হলুদ ও দুধ।
৬. সুন্দর দেখাতে তো সকলেই চান। এবার সেই কাজে সাহায্য করে এই দুধ।
৭. চুলকানি অনেকের হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে দুধ ও হলুদ মিশিয়ে খেলে চুলকানি কমে।
৮. ঘুমের সমস্যা তো অনেকের হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্যা দূর করে দিতে চাইলে হলুদ দুধ খান।
৯. অ্যাজামা, ব্রঙ্কাইটিস বা ওই ধরনের যে কোনও অসুখের বেদনা কমাতে পারে।
১০. ব্রণ কমতে পারে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়া জরুরি।