চলতি নভেম্বর মাসেই বিশ্বের জনসংখ্যা নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে। আর তা হলো গ্রহ হিসেবে আগামী ১৫ নভেম্বর পৃথিবীতে জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাতালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ, মানবসভ্যতার জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। তিনি প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে যাওয়ার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, যদিও আমি বুঝতে পারছি স্মরণীয় এই মুহূর্তটি সবাই উদযাপন নাও করতে পারেন। পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেশি বলে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আমি এখানে পরিষ্কার করে বলতে চাই, মানুষের এই সংখ্যা ভয়ের কোনো কারণ নয়।
আমাদের সংখ্যা কি এতই বেশি, যা পৃথিবীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে? অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘এটা ভুল প্রশ্ন। অতিরিক্ত জনসংখ্যাভীতির চেয়ে আমাদের মধ্যকার সবচেয়ে ধনীদের এই গ্রহের সম্পদের অতিমাত্রায় ভোগের দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত।’
রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, ‘কাদের জন্য অনেক বেশি, কিসের জন্য অনেক বেশি? আপনি যদি আমাকে এ প্রশ্ন করেন, আমি কি (সংখ্যায়) অনেক বেশি হয়ে গেলাম? আমি তেমনটা মনে করি না।’
জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে ১১ কোটি ৯৫ লাখের বেশি মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন।
এদিকে থিঙ্কট্যাঙ্ক গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্ক ও ডব্লিউডব্লিউএফ বলছে, যদি আমরা সবাই একজন মার্কিনির মতো খাবার গ্রহণ করি তাহলে প্রতিবছর আমাদের এরকম ৫টি গ্রহের প্রয়োজন হবে।