কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিল করতে গিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামীলীগের ৪ নেতা। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ ৫ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। ১৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক সরকার রকীব আহমেদ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেলে।
জানা গেছে, রবিবার বিকেলে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর তিলাই মাদরাসা মাঠে ৯ নং ওয়ার্ড (উত্তর তিলাই) আওয়ামীলীগ কমিটি গঠনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওইদিন বিকেলে এতে যোগ দিতে অতিথি হিসেবে সেখানে যাচ্ছিলেন ওই উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মুকুল চৌধুরী, যুগ্মসম্পাদক সরকার রকীব আহমেদ, প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান ও প্রভাষক বদরুল আলম। পথে তারা ধলডাঙ্গা বাজারের কাছে পৌঁছলে শিলখুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলতাফ হোসেনের নেতুত্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাদের গাড়ী আটকিয়ে পথরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এঘটনায় রোববার রাতেই উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ পৃথক পৃথক জরুরী সভা করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলতাফ হোসেন, সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল কাদের তালুকদার, নুরুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ওমর ফারুককে সাময়িক বহিস্কার করে। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামী করে রাতে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা করেন যুগ্মসম্পাদক সরকার রকীব আহমেদ।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহজাহান সিরাজ জানান, দীর্ঘদিন থেকে আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা-কর্মী বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এবার কাউন্সিলে তারা তাদের পদ আশঙ্কায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভূরুঙ্গামারী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।