কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) সংবাদদাতা: তথ্য গোপন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা বানিয়ে জাল সনদে চাকুরী নিয়েও বহাল তবিয়তে রয়েছেন খামার গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সূর্যি আক্তার ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গঠিত তদন্ত কমিটি এর সত্যতা পেয়েছেন। নানার মুক্তিযোদ্ধা সনদের স্বপক্ষে গহণযোগ্য কোন দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেননি সুর্যি।
গত ৭ জানুয়ারী দৈনিক ইত্তেফাকে মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া নানা বানিয়ে কোটায় চাকরী নেওয়ার অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমের নির্দেশে খামার গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুর্যি আক্তারের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনকে নানা বানিয়ে জাল সনদে চাকুরী নেওয়ার অভিযোগের উচ্চতর তদন্ত শেষে ৪ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগমকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, তদন্তে খামার গাড়্রাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক সুর্যি আক্তার বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের সাথে নানা নাতনীর সম্পর্কের কোন দালিলিক কোন প্রমাণ দিতে পারেননী। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন , সুর্যি আক্তার নামে তাঁর কোন নাতনী নেই। তাঁর ভিডিও বক্তব্যসহ তদন্ত রিপোর্টের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছি। পাশাপাশি এলাকাবাসী, অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ,ওয়ারিশন সনদ, বিবাহের কাবিনসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে সুর্যি আক্তারের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের কোন সম্পর্ক বের করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠানো হবে। যেহুতু বিষয়টি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তাই এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ সিদান্ত গ্রহন করবেন।