নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১নং ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের দৈর্ঘের প্রায় ৩০ ফুট ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ আসা-যাওয়া করছে। ব্রিজটি মেয়াদ শেষ তবুও প্রতিদিন শত শত মানুষ ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। যে কোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ভয়াবহ বন্যার প্রভাবের কারণে ব্রিজটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। ব্রিজটি খুঁটি থেকে ফাটল ও প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভরপাশা ইউনিয়নের ২নং কৃষ্ণকাঠি গ্রামের উত্তর পশ্চিম শেষ প্রান্তে এবং ৩নং ওয়ার্ডে আতাকাঠি গ্রামের শুরু হতে সংস্কারের অভাবে ব্রিজটির মাঝখানের পিলারের ফাটল সৃষ্টি ও দুইপাশের রেলিং ভেঙ্গে খসে পড়ে যাওয়ায় যান কিংবা মানুষ চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি ব্রিজ টিতে উঠতে দুইপাশে মাটি না থাকার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে দুধলমৌ,আতাকাঠি, কৃষ্ণকাঠি,পাদ্রীশিবপুর, সহ ৫ -৬ টি গ্রামের প্রায় শত শত মানুষ যাতায়াত করেন।প্রায় ২ যুগের বেশি পুরোনো ব্রিজ হওয়ায় অনেক দিন থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে।
কৃষ্ণকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদ বলেন, স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যেকোনো সময় ব্রিজটি খালের মধ্যে ধ্বসে পড়তে পারে। ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর মাঝখানে বড় আকারের ফাটল,দুইপাশের রেলিং এবং প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে।এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। এছাড়াও আতাকাঠি থেকে বয়ে আসা গোলদার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থায় বর্ষার মৌসুমে দূভোর্গের শেষ থাকে না,দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাজ ও দেখা মেলেনি ফলে কৃষি উৎপাদিত পণ্যে বাজারজাত করন কিংবা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার নেওয়াও সম্ভব নেই বলে জানান।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভিপি আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই ব্রিজে বেহাল অবস্থা চিত্র আমিও দেখেছি, ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ার পারাপারে অনুপোযোগী,তবে অর্থ বছরের বরাদ্দ পেলে নতুন করে ব্রিজটি করতে পারবেন বলে জানান।