খান মাহাদী
আজ খুব করে বলতে ইচ্ছে করছে, “কেউ কথা রাখেনি, কেউ থাকেনি চিরকাল পাশে। কেউ যত্ন করে কথার দাম দেয়নি। কেউ বোঝেনি মানসিক যন্ত্রণায় কাতরে শেষ হবার গল্প”।
অনেক বছর আগে কেউ একজন বলেছিল,
“বুকের বাম পাশটায় হাত রেখে দেখো আমায় পাবে; পৃথিবী বদলে যাবে কিন্তু এই প্রেমিকের বদল -অসম্ভব”! অসম্ভবই বটে কারণ,বুকের বাম পাশটায় আজও ব্যাথা অনুভব করি তার নামে। আজও পাশে খুঁজি তার সঙ্গ।
বারবার ঠুনকো স্বভাবে একটা ছোট ম্যাসেজ করার চেষ্টা, কিন্তু ততবারই থমকে যায় হাত কারণ, সবই এখন নিষিদ্ধ খাঁচায় বন্দি। মানুষটা যে আর আমার নয়,হয়তো অন্যকারোর।
যে একদিন বলেছিল মাথায় হাত রেখে, “বিপদে পড়লে পাশে পাবি প্রতিটা মুহূর্তে”
সেও বিপদের সময় নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল বেশ করে। বার সাতেক ফোন করেও যার সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব হয়নি, যার মতলব তখন আমার থেকে দূরে থাকার। আমার বিপদে এগিয়ে না এসে পিছিয়ে যাওয়ায়। সে হয়তো কোনো আত্মীয়,বা কাছের কেও নয়তো প্রেমিক কিংবা বন্ধু।
আসলে কেও ইচ্ছে করে বদলে যায়না,বদলে যায় তার মানসিকতা, পরিবর্তন হয় তার প্রিয় – র সংখ্যা। আর যত্নে তুলে রাখা অনুভূতি গুলোও প্রতিনিয়ত নতুন কাওকে খুঁজে নেই।
আমি দেখেছি সেই প্রেমিক কে যে একদিন কথা দিয়েছিল তার প্রেমিকা টিকে সারাজীবন ভালো রাখবে,ভালোবাসবে, তার ভালো-খারাপ প্রতিটা মুহূর্ত। কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রেমিক যখন স্বামীর পদক লাভ করে, ঠিক তখনি তার প্রতিটা প্রতিশ্রুতি বদলে যায়। তার প্রিয় প্রেমিকার দিকে তখন চা এর কাপ ছুঁড়ে দিয়ে বলে “রং এত ফ্যাকাসে কেন?”
আসলে তখন সে আর প্রেমিকা নয়, যার সাথে একটা বার দেখা করার জন্য খুঁজতে হতো নানা অজুহাত। সে তখন স্ত্রী যাকে চোখের সামনে সহ্য করতে হয় ক্ষণে ক্ষণে। লালসা ভরা চোখে যাকে ভোগ করা হয়ে গেছে বারংবার।
আবার আমি এটাও দেখেছি কেও একজন কথা দিয়েছিল একসাথে বাঁচার, স্বপ্ন দেখিয়েছিল ভালো রাখার।