আশরাফুজ্জামান খোকন পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকা ভূক্তির জন্য সকল যোগ্যতা থাকা সত্বেও শুধু মাত্র নামের আগে শহীদ কথাটি লিখা না থাকায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনছুর আলীর ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, লাল মুক্তিবার্তা সহ সকল গ্যাজেটে মনছুর আলীর নাম থাকায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ভূক্ত হয়ে ভাতা পেয়ে আসছিল তার পরিবার, কিন্তু সম্প্রতি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নির্নয় কালে যাচাই বাছাই কমিটি মনছুর আলীকে মুল তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করলে ভাতা প্রদান বন্ধ হয়ে যায়।
মনছুর আলী মুক্তিযুদ্ধ কালিন সময় দেশের অভ্যন্তরে পাকসেনা ও তাদের দোষর রাজাকারদের অবস্থান ও কর্মকৌশল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌছে দেওয়ার কাজ করতেন। তিনি ৭ নং সের্ক্ট এবং ৬নং সেক্টরের আংশিক এলাকায় সহযোগি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল পার্বতীপুর থানার হলদিবাড়ি যশাই হাটে রাজাকারদের সাথে গোলাগুলির সময় প্রাণ হারান তিনি। ঁঁঁপর রাজাকাররা তার লাশ টানে হিছরে নিয়ে আসে হলদিবাড়ি হসপাতাল চত্ত্বরে।
মনছুর আলী পার্বতীপুরের হলদিবাড়ি রুরাল হেলথ সেন্টারের ড্রাইভার ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সংবিধান প্রনেতা এম. আব্দুর রহিমের একজন ঘনিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত ছিরেন। তাঁরই নির্দেশে শহীদ মনছুর আলী মুক্তি সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন।
শহীদ মনছুর আলীর পরিবার বর্তমানে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়ে মনছুর আলী অসামান্য অবদান রেখেছেন। লাল মুক্তিবার্তার তালিকায় শহীদ কথাটি উল্লেখ থাকলেও ২০০৩ সালের ৫ই জুনে প্রণীত গ্যাজেটে অসর্তকার কারণে নামের আগে শহীদ কথাটি উল্লেখ না থাকায় তার এ অবদান ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা শহীদ মনছুর আলীর প্রামান্য কাগজপত্র পুনরায় যাচাই বাছাই করে তার প্রাপ্ত সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোন উদ্যোগ নেয়নি।