কীর্ত্তিকা সেন বিল্টু (কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি): ঘন কুয়াশায় চাঁদর মুড়ি দিয়ে আছে প্রকৃতি। নিকট দুরেও আবছা দেখাচ্ছে সবকিছু। চলমান শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ।
শেষ পৌষ থেকে মাঘের শুরু টানা কয়েকদিন ধরে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা ঘেরা থাকে সারাদিন। কুয়াশা কিছুটা কেটে সকাল অাসে অনেক দেরীতে। দুপুরের কিছু আগে স্বাভাবিক হয় জনজীবন। এর কিছু পরে ফের কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। দ্রুত মানুষ ফেরে বাসায়। সন্ধ্যার আগে শেষ বিকেলে জনশুন্য হয়ে পরে রাস্তাঘাট। ধীরে ধীরে কুয়াশার ঘনত্বের সাথে নির্জনতা বাড়তে থাকে চারপাশে। বাকী সময় নির্জনতাকে সঙ্গী করে কেটে যায় সমস্ত রাত। আগে রাতের নির্জনতা বাড়ার সাথে সাথে ঝিঝি পোকার গুঞ্জন কানে আসলেও অতিরিক্ত কুয়াশা ও ঠান্ডায় যেন স্তব্দ হয়ে গেছে তারাও। এখন শুধু কানে আসে বৃষ্টির মত গাছের পাতা ও টিনের চালায় টুপ টুপ ঝরে পড়া শিশিরের শব্দ। এভাবেই চলছে চলমান শৈত্যপ্রবাহে কুয়াশা ঘেরা দিনরাত।
কমে গেছে তাপমাত্রা। কুড়িগ্রামে অাজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আবহাওয়ার এ অবস্থা আরো বেশ কয়েকদিন চলবে।
এদিকে কম তাপমাত্রার অাবহাওয়ার সাথে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া মিশে ঠান্ডা বাড়িয়েছে। মাঘের শুরুতে এ ঠান্ডায় টন টন করছে মানুষের হাত পা। একটু উষ্ণতার খোঁজে কেউ জ্বালিয়েছে আগুনের কুন্ডলী। কেউ শরীরে বাড়তি কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করছে। বাড়তি কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় কষ্টে দিনাতিপাত করছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
মাঘের এ শৈত্যপ্রবাহে আরো কষ্টে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. আবু বকর সিদ্দিক জানান, শৈত্যপ্রবাহে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলিস, এ্যাজমা ও বৃদ্ধরা সিওপিডি, নিউমোনিয়া, এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের বেশিরভাগই আউটডোরে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।