কামরুজ্জামান (ভোলা সংবাদদাতা): চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী মা হয়েছেন। চরযমুনা গ্রামের নিজ বাড়িতে ওই কিশোরী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
ওই কিশোরীর বাবা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নীলকমল ইউনিয়নে প্রতিবেশী যুবক সাইমুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সাইমুন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেন।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতবরদের সহযোগিতায় ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা বিয়ে প্রহসনের ঘটনাটি ধামাচাপা চেষ্টা করেন। ধর্ষক সাইমুনের সঙ্গে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন তার পরিবার। বিয়ের আয়োজনের অজুহাতে কৃষক কন্যার পরিবারের কাছ থেকে বিয়ে ছাড়াই এক লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ধর্ষক সাইমুনের বাবা মোস্তফা ও স্থানীয় মাতবররা। পরে আরও ৬ মাস কেটে যায়।
এদিকে গত ৭ জানুয়ারি ওই কিশোরী কন্যার কোল জুড়ে আসে কন্যা সন্তান। মায়ের কোল জুড়ে বেড়ে উঠলেও শিশুটির পিতৃপরিচয় নিয়ে সংকট ঘনীভূত হয়েছে। কিশোরীর সন্তানের জন্ম দিলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে সটকে পড়েন স্থানীয় মাতবররাসহ ধর্ষক সাইমুনের পরিবার।
এ ঘটনায় সোমবার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ভোলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে সাইমুনসহ তিন সহযোগীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পর অভিযুক্ত সাইমুন আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত সাইমুনের ভগ্নীপতি শাহেদ জানান, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার শ্যালককে ফাঁসানো হয়েছে। ডিএনএ টেস্ট করলে আসল রহস্য পাওয়া যাবে।
দুলারহাট থানার ওসি মো, মোরাদ হোসেন জানান, দুলারহাট থানায় আমি চার মাস হলো যোগদান করেছি। এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তৎকালীন ওসি হয়তো বিষয়টি জানতে পারেন। তবে বিষয়টি এখন গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।