দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় আগামী ১৬ মার্চ চার্জগঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তার জামিনের আবেদনও নাকচ করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণ করে চার্জগঠনের তারিখ ধার্য ও জামিন নাকচের এ আদেশ দেন।

এদিন গোল্ডেন মনিরের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল জামিনের বিরোধীতা করেন। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক এ আসামির বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এর আগে গত বছর ২২ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল হওয়া মামলাসহ তিন মামলায় এ আসামির ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ওই বছর ৩ ডিসেম্বর তিন দিন করে নয় দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত বছর ১০ ডিসেম্বর তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে গত বছর ২০ নভেম্বর গভীর রাতে মনিরের বাড্ডার বনশ্রীর বাড়ি ঘিরে রাখে র‌্যাব। পরে ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গয়না, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের দাবি, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির। জব্দ করা হয়েছে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি। যার প্রতিটির মূল্য তিন কোটি টাকা।