রবিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে (ডুজা) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় তারা। এসময় পরীক্ষার তারিখ পুনঃনির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী ও পিএসসির চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ও ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন,
কোভিড-১৯ এর উর্ধ্বমুখী হারের আতঙ্কের মাঝেই পৌনে পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আগামী ১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দেশে মহামারী করােনার সাম্প্রতিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ৬.২৬ শতাংশ এবং নতুন ইউকে ভেরিয়ান্ট শনাক্ত হওয়ায় ৪.৭৫ লাখ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও প্রায় পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, পরিবহন ও যােগাযােগ শ্রমিক এবং পরীক্ষার কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রত্যাবেক্ষক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ সব মিলিয়ে সাত থেকে আট লাখ মানুষের জনসমাগমে পিএসসি নির্দেশিত বিধিসমূহ কতটুকু অনুসৃত হবে তা নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে তেমনি করােনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সফারের উচ্চ ঝুঁকির সম্ভাবনাও রয়েছে।
করােনা পজিটিভ পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে পিএসসির সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকায় তা সুস্থ পরীক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এসময় তিনি বলেন, এমন আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা নিয়ে বিসিএসের মত শুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সত্যিই দুরূহ।
তিনি আরো বলেন, টিকা নিশ্চিতের আগেই এত বড় পরিসরে জনসমাগমের আয়ােজন অতিমারী রােধে স্বাস্থ্যবিধি, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নীতি এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার করােনা মােকাবেলায় সাম্প্রতিক তিনটি নির্দেশনার সাথে সাংঘর্ষিক বলে পরীক্ষার্থীবৃন্দ মনে করেন। এছাড়াও হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দেশের সরকারি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পাবলিক সার্ভিসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন