চার বছর আগে আতিয়ার রহমানের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয় আদুরী বেগমের (২১)। বিয়ের কিছুদিন পরেই যৌতুকসহ নানা কারণে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের মুখে পড়েন আদুরী। তবে সংসার টিকিয়ে রাখতে সয়ে গেছেন সব নির্যাতন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
রোববার রাতে স্বামীর নির্যাতনে আদুরী বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের শীধল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক কলহ ও যৌতুকের জন্য পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূ আদুরী বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গভীর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মারামারি দেখতে পেয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল বিষয়টি জানান। পরে ঘোড়াঘাট থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আদুরীর লাশ উদ্ধার করে এবং স্বামী আতিয়ার রহমানকে আটক করে।
মারা যাওয়া আদুরী বেগমের বাবার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি শহীদুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত আতিয়ার রহমান ঘোড়াঘাট উপজেলার শীধল গ্রামের শাহাদুল ইসলামের ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সোমবার সকালে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।