অস্ট্রেলিয়ায় যৌন নিপীড়ন ও লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে আজ সোমবার হাজারো নারী বিক্ষোভ করেছেন। ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনায় দেশটিতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। এ নিয়ে সেখানকার রক্ষণশীল সরকার অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই এই বিক্ষোভ হলো। খবর এএফপির।
সাবেক সরকারি কর্মী ব্রিটানি হিগিনস গত মাসে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে একজন মন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সহকর্মী তাঁকে ধর্ষণ করেন। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটি ছিল, ১৯৮৮ সালে ছাত্র থাকাকালে ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের অনেককে নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়। যেমন কোনোটিতে লেখা ছিল, ‘আপনারা শুনছেন না’, কোনোটিতে ছিল, ‘আপনারা কতজন ভুক্তভোগীর খবর রাখেন?’ অধিকাংশ বিক্ষোভকারীর পরনে ছিল কালো পোশাক।
পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য মেলবোর্ন থেকে এসেছিলেন ক্যাথরিন জেমিসন। যৌন নিপীড়ন ও বৈষম্য নিয়ে তিনি জানাচ্ছিলেন তাঁর ক্ষোভের কথা। বলেন, ‘আমি চাই, সমস্যার গভীরে যাওয়া হোক। যথেষ্ট হয়েছে। অবিলম্বে আমাদের পরিবর্তন প্রয়োজন।’
সাবেক সরকারি কর্মী ব্রিটানি হিগিনস গত মাসে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে একজন মন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সহকর্মী তাঁকে ধর্ষণ করেন। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটি ছিল, ১৯৮৮ সালে ছাত্র থাকাকালে ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি।
গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল চার্লস ক্রিস্টিন পোর্টার দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এবিসির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এবিসি নাম প্রকাশ না করে দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আইনজীবীরা বলছেন, প্রতিবেদনটি পড়ে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
এ ছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, সম্প্রতি বিরোধী লেবার পার্টির নারী সদস্যরা ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছেন। সেখানে পুরুষ সহকর্মী ও রাজনীতিবিদদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেছেন তাঁরা।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার পার্লামেন্টে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পার্লামেন্টে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটানি হিগিনস। বিক্ষোভস্থলে তিনিও এসেছিলেন। ক্যানবেরায় বিক্ষোভকারীদের নিজের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বলেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমাদের লড়াই করে যেতে হবে।’
চার্লস ক্রিস্টিন পোর্টারের শহর পার্থেও বিক্ষোভ হয়েছে। মেলবোর্নে বিক্ষোভে যোগ দেন প্রায় ১০ হাজার নারী। ক্যানবেরা ও সিডনিতেও কয়েক হাজার নারী বিক্ষোভ করেন।