১৯৭১-এ স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্ধশতক পেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ইতিবাচক উল্লেখযোগ্য অর্জন যেমন আছে, তেমনি নেতিবাচক ঘটনাও কম নয়। এরই মধ্যে দেশের সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য একটি মাইলফলক একুশে বইমেলা।
অমর একুশে বইমেলার কথা উঠলই চোখে ভেসে ওঠে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই আর মানুষের ভিড়ের চিত্র। ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে বাংলা একাডেমি চত্বরে চলে একুশে গ্রন্থমেলা। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণ, শিক্ষার্থী, লেখক, কবি, এমনকি প্রবাস থেকেও অনেকে আসেন বইমেলায় ঘুরতে। শুধু শহুরে লেখক, পাঠক আর প্রকাশক নন, একুশে বইমেলা টেনে আনে সৃজনশীল সবাইকে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের জন্য এ এক বড় অর্জন।
১৯৭২ সাল! বাংলা একাডেমির দেয়াল ঘেঁষে অল্প কিছু বই নিয়ে বসতেন কয়েকজন প্রকাশক। মূলত ফেব্রুয়ারি মাসকে ঘিরে ৮-১০ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। সে সময় মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহা, স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী, বর্ণ মিছিলের তাজুল ইসলাম অল্প কিছু বই এবং উদীচী, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ ডাকসুর সম্পাদিত একুশের সংকলন নিয়ে খবরের কাগজ বা চট বিছিয়ে বসত। যদিও তখনো সেটা একুশে বইমেলা হয়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশে বইমেলা শুরুর একেবারে গোড়ার ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে যেতে হবে আরও পেছনে। ১৯৬৪-৬৫ সালের দিকে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সে সময়ের পরিচালক ও লেখক সরদার জয়েন উদ্দিন বেশ কিছু স্থানে বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।