আজারবাইজানের চালানো বোমা হামলায় কেপে উঠে নাগর্নোকারাবাখ অঞ্চল।
তাদের হামলায় বেশ কয়জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আর্মেনিয়া। আধিপত্য বিস্তারে ককেশাসে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে এক সপ্তাহ ধরে পাল্টাপাল্টি হামলায় যুদ্ধের ভয়বহতা বেড়ে চলেই চলেছে। গোলার পাশাপাশি রকেট, বিমান হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছে উভয়পক্ষ। প্রাণ বাঁচাতে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছে আর্মেনিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষ।
আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে নতুন করে আরও বেশ কিছু গ্রাম আজারবাইজানের সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিড়িওতে তালিশের একটি গ্রামে আজারবাইজানের সেনারা তাদের পতাকা উড়াতে দেখা যায়। জাব্রাইলের বিভিন্ন অঞ্চল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে মুক্ত করায় অভিনন্দন জানান আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। একই সঙ্গে যুদ্ধ বিরতির প্রশ্নে বেশ কিছু শর্ত তুলে দিয়ে বলেন, নাগার্নোকারাবাখে আঞ্চলিক অখন্ডতাই তাদের মুল লক্ষ্য। প্রেসিডেন্ট বলেন, বছরখানেক আগে আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন নাগার্নোকারাবাখ আর্মেনিয়ার। এখন আজারবাইজানের জনগণের কাছে তার ক্ষমা চাইতে হবে। দ্বিতীয়ত তাকে বলতে হবে কারাবাখ আর্মেনিয়ার নয়, তাকে আজারবাইজানের আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তাকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে ঠিক কখন এলাকা থেকে তাদের সেনাদের সরিয়ে নিবে। এদিকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মর্টার হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে যেকোনো হামলার ব্যাপারে দুই দেশকেই সতর্ক করেছে ইরান। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের এই বৈরী অবস্থার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। যুদ্ধ বন্ধে আজারবাইজানকে সরাসরি সমর্থন দেয়া তুরস্ককে আহŸান জানান জোটের মহাসচিব।