সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলার আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলার ৪৮ আসামি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আসামিরা একসঙ্গে থানায় হাজির হলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠায়।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আসামিরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর এলাকায় গিয়ে আমরা অপরাধ দমন সভা করেছি। জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, পুলিশ অপরাধ দমনে কাজ করে। তাই পুলিশের কাজে সহযোগিতা প্রয়োজন। এরপর আসামিরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন এবং নিজেরা এসে ধরা দেন।’
এলাকাবাসী ও জগন্নাথপুর থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, ১৪ মার্চ উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন পুলিশ উপজেলার ঐয়ারকোণা গ্রামে ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলার আসামি আবদুল হাশিমকে (৪৫) ধরতে যায়। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্বজনেরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। হামলায় আহত হয়ে পুলিশের তিন সদস্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় এসআই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। ১৯ মার্চ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি আবদুল হাশিমকে সিলেট শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ৪৮ আসামি থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক রাজিব রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা মামলার ৫৩ আসামির মধ্যে ৫ জন জেলহাজতে ছিলেন। আজ ৪৮ জন থানায় আত্মসমর্পণ করায় এই মামলার সব আসামি এখন জেলহাজতে।