স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নারীদের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো জয় করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন’ পুরস্কার নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে রবিবার অনুষ্ঠিত ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেসিআই (জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল) বাংলাদেশ ১৩জন নারী উদ্যোক্তাকে এই পুরস্কার প্রদান করে। জেসিআই বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইসমাত জাহান লিসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি, ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ, ইউএস অ্যাম্বাসির ডেপুটি চিফ অফ মিশন জোয়ান ওয়াগনার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, নারীরা পরিবর্তনের কার্যকর নিয়ামক। মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর আর্থ-সামাজিক অবদান অস্বীকার করা যাবে না। সমতাভিত্তিক সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যেক নারীর মৌলিক অধিকার। দারিদ্র্য, বৈষম্য, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণের সুযোগের অভাব পাশাপাশি নারী নেতৃত্বের অভাব একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরো বলেন, কোভিডকালীন লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড সময়ে উদ্ভূত এধরনের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণ করে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণ তথা নারীর ক্ষমতায়নে উদ্ভাবনী নীতি ও কৌশল প্রণয়ন জরুরি।
এসময় তিনি সরকার নারীবান্ধব নীতি গ্রহণের ফলে শুধু শহরেই নয়, গ্রাম পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে নারীরা আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে বলেও উল্লেখ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই