• রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দুইদিন নিখোঁজের পর নদী থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার নওগাঁয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ কার্যক্রম শুরু নওগাঁর বদলগাছীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত উপযুক্ত খেলার মাঠ না থাকায় বড়িয়া ঐতিহাসিক বি পি এল খেলা হারিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পত্রিকার হকার ইব্রাহিমের ভবন নির্মানের অভিযোগ! গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত স্বাধীনতা দিবসের ব্যানারে “স্বাধীনতা “ বানানই ভুল! নওগাঁর পত্নীতলায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিলেটে ইমাজিন ফাউন্ডেশন সিলেটের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ লামায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত




করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ

Reporter Name / ৪৮৭ Time View
Update : সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০




করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে এখন থেকেই সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট-সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সাভার সেনানিবাসে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশঙ্কা করা হচ্ছে আরেকবার হয়তো এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। কারণ ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আবার নতুন করে দেখা দিচ্ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। যেটুকু নেহাৎ প্রয়োজন তার বেশি কোনো পয়সা খরচ করা এখন চলবে না। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে শুধু বাংলাদেশ না বিশ্বব্যাপী সকলের জন্য একটা স্থবিরতা এসে গেছে। করোনাভাইরাসে আমরা অনেক আপনজনকে হারিয়েছি। অনেক মানুষকে দেশে বিদেশে প্রবাসে হারিয়েছি। এই করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অর্থনীতি যেন স্থবির না হয়, আর মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তার জন্য আমরা শুরু থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’ এসময় সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজসহ নগদ অর্থ সহায়তার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি, যেভাবে হোক মানুষের কাছে অর্থ পৌঁছাতে হবে, আর্থিক স্বচ্ছলতা দিতে হবে এবং অর্থনীতি সচল রাখতে হবে। আমার একটাই লক্ষ্য যেন কোনো মানুষ কষ্টে না থাকে। আর কৃষিতে আমার নির্দেশই ছিল আমাদের প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। যে যেখানে আছে যার যার সামর্থ্য আছে সব উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোমতে খাদ্য সংকট যেন দেখা না দেয়। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী একটা খাদ্য মন্দা দেখা দিতে দিচ্ছে। অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা ঠিক সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম বলেই আজকে হয়ত সেই সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে না। কিন্তু আজকে এখনো করোনাভাইরাসের প্রবাহ আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরেকবার হয়ত এই করোনাভাইরাসের প্রভাব বা প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। কারণ ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আবার নতুন করে দেখা দিচ্ছে। তাই আমাদের এখন থেকেই সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। সেইসঙ্গে আমাদের খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। সে ব্যাপারে আহ্বান জানাবো, আপনারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকবেন এবং যার যার দায়িত্ব পালন করবেন।‘

‘করোনা চিকিৎসার জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ২ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছি। ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি এবং টেকনিয়ান নিয়োগ দিয়েছি। এত দ্রুত সময় এতো সংখ্যক লোক নিয়োগ দেওয়া একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু আমরা এটা করেছি যেন তাদেরকে ট্রেনিং দিয়ে করোনা রোগীদের যেন চিকিৎসা দিতে পারে। সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’

সেজন্য সশন্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এইটুকুই চাইবো, দেশ আমাদের এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। এবারও আমরা বাজেট দিয়েছি। ৫ লাখ ৬৮হাজার কোটি টাকার বাজেট, যেটা দেওয়া খুব কঠিন ছিল। তবু আমরা দিয়েছি। তারপরও বলেছি, অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে। কারণ করোনাভাইরাস যদি আবার ব্যাপকভাবে দেখা দেয়, তাহলে আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। মানুষকে আবার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে, চিকিৎসা করতে হবে, ঔষধ কিনতে হবে হয়ত আরও ডাক্তার নার্স আমাদের লাগবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু আমাদের নেহাৎ প্রয়োজন তার বেশি কোনো পয়সা খরচা করা এখন চলবে না। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই সে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও আমরা বাজেট ঠিক রেখেছি।’

এছাড়া প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে যেতে চাই। আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ২০ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা দিয়েছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেই পরিকল্পনাও নিয়েছি। ২১০০ সালে এই বদ্বীপ যেন আরও উন্নত হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ডেল্টা প্ল্যান সেটাও গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ শুধু বর্তমান না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তারাও যেন সুন্দর জীবন পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এসব পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এটাই আমার লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ ছিল আমরা তার ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। সেটাও আমরা ধরে রাখতে হবে। আর নদী ভাঙণে ক্ষতিগ্রস্থ যারা তাদের সবাইকে আমরা ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি, করে দেব। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি।





আপনার মতামত লিখুন :

Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/deshytvn/public_html/wp-includes/functions.php on line 5583

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ