বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) প্রবেশ পর্যায়ে মোট ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক হতে আগ্রহী নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইন আবেদন (e-Application) আহ্বান করা হয়েছে। এসব পদের মধ্যে এমপিও ৪৮ হাজার ১৯৯টি এবং নন-এমপিও ৬ হাজার ১০৫টি। ১ এপ্রিল থেকে শূন্য পদের বিষয় ও পদভিত্তিক তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট www.ntrca.gov.bd এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে http://ngi.teletalk.com.bd জানা যাবে।
আবেদনকারীকে আবশ্যিকভাবে এনটিআরসিএ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিবন্ধনধারী এবং সমন্বিত মেধাতালিকাভুক্ত হতে হবে। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবলকাঠামো অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২০ সালে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইনডেক্সধারী প্রার্থী এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মামলার রায় অনুযায়ী ১২.৬.২০১৮ সালের আগে যাঁরা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।
(ক) e-Application পূরণ ও ফি জমা প্রদান শুরু ৪ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে।
(খ) e-Application জমা প্রদানের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। ৩০ এপ্রিল রাত ১২টার পর শুধু Application ID–প্রাপ্ত প্রার্থীরা ওই সময়ের পরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে, অর্থাৎ ৩ মে রাত ১২টা পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।
আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে ১০০ টাকা হারে ফি জমা দিতে হবে। নির্ধারিত হারে ফি জমা না দিলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে। অনলাইনে আবেদন ও ফি জমা দেওয়াসংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট এবং এনটিআরসিএর www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটে স্বতন্ত্রভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে।
*প্রতিটি পদের জন্য প্রাপ্ত সব বৈধ আবেদনকারী অনলাইনে সফলভাবে আবেদন পেশ করার পর এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি এসএমএস পাবেন। এ ছাড়া আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে দাখিল করা আবেদনের একটি প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করতে হবে।
*নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদের জন্য শুধু নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরুষ প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
*যেসব পদের বিপরীতে ‘Female Quota’ প্রদর্শিত হবে, সেসব পদে শুধু নারী প্রার্থীরা আবেদন করবেন। অবশিষ্ট সব পদে নারী–পুরুষ উভয় প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
*আবেদন ফরমটি সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে। কেননা, ফরম পূরণ শেষে একবার আবেদনপত্র Submit হয়ে গেলে তা কোনোভাবেই সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
*একজন সনদধারী e-Advertisement–এ প্রদর্শিত তাঁর সংশ্লিষ্ট বিষয়/বিষয়সমূহের বিপরীতে তালিকায় বর্ণিত সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে একাধিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে পছন্দের ক্রম উল্লেখ করতে হবে। তাঁর পছন্দের ক্রমানুসারে মেধাক্রম অনুসরণ করে মাত্র একটি পদের বিপরীতে তাঁর নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
*শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবলকাঠামো অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তাঁর শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লেখিত বিষয়–সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে ওই সুপারিশ বাতিলকরণসহ তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রাপ্ত আবেদনগুলো সরকারি বিধিবিধান অনুসরণ করে সমন্বিত জাতীয় মেধাতালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বাছাই করে নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর সুপারিশপত্র প্রেরণ করা হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীকে এসএসএমের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। নিয়োগ সুপারিশে বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপারিশ করা প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানে ব্যর্থ হয়, তবে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অনুযায়ী ওই সব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিলকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
*লেখক: মো. শাকিরুল ইসলাম, দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত, জাতীয় মেধাতালিকায় নবম, প্রভাষক (ভূগোল), ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।