ম্যাচটার সবচেয়ে বড় আলোচনা ছিল আর্লিং হরলান্ডকে ঘিরে। ডর্টমুন্ডের এই স্ট্রাইকারকে পাওয়ার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটিই এগিয়ে আছে। সেই সম্ভাব্য ভবিষ্যতের দলের মাঠে গিয়ে নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার কেমন খেলেন, আগ্রহ ছিল সকলের। গোল না করতে পারলেও, জার্মান উইঙ্গার মার্কো রয়েসের গোলে সহায়তা করে নিজের জাত একটু হলেও চিনিয়েছেন এই স্ট্রাইকার।
আর এই এক গোলের কারণেই ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার কপালে চিন্তার ভাঁজ। গোলটা যে ডর্টমুন্ডের অ্যাওয়ে গোল! সিটিকে এখন নিশ্চিত করতে হবে, কোনোভাবেই যেন তারা ডর্টমুন্ডের মাঠে গিয়ে পা না হড়কায়। এ ছাড়া এমনিতে নিজেদের মাঠে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে জয় পেতে সমস্যা হয়নি সিটির। কেভিন ডি ব্রুইনা আর ফিন ফোডেনের দুই গোলে ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।
যথারীতি এই ম্যাচের একাদশ নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গেছেন গার্দিওলা। রাইটব্যাক জোয়াও ক্যানসেলোকে খেলিয়েছেন লেফটব্যাক হিসেবে, সের্হিও আগুয়েরো-গাব্রিয়েল জেসুস—কোনো স্ট্রাইকারকেই খেলাননি, বরং স্ট্রাইকার হিসেবে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার বের্নার্দো সিলভাকে। মূল একাদশে ছিলেন না রহিম স্টার্লিংও।
১৯ মিনিটেই ডি ব্রুইনার গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ৩৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডের ইংলিশ উইঙ্গার জুড বেলিংহামের একটি গোল বাতিল করে আলোচনার জন্ম দেন রেফারি ওভিদিউ হাতেগান। সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসনের পা থেকে ভালোভাবেই বল কেড়ে নিয়ে গোল করেছিলেন এই তরুণ, কিন্তু রেফারি উল্টো ফাউলের কারণে গোলটা বাতিল করে দেন। হলুদকার্ড দেখেন বেলিংহাম। দ্বিতীয়ার্ধে ৮৪ মিনিটে হরলান্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করে বসেন জার্মান উইঙ্গার মার্কো রয়েস।
সিটির মনে তখন নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা। যদিও জয় হাতছাড়া হয়নি তাঁদের। একদম শেষ মুহূর্তে ফিল ফোডেনের গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটি। তবে আগামী সপ্তাহে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় লেগে ডর্টমুন্ড অবশ্যই চাইবে এই ঘাটতি পূরণ করে নিতে। আর সেটা যদি না করতে পারে, তাহলে সিটিরই লাভ। গার্দিওলার অধীনে প্রথমবারের মতো সেমিতে উঠে যাবে তখন তারা।
গার্দিওলা যে পরের লেগে গোল আটকানো নয় বরং চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়েই খেলিতে যাবেন, সেটা বোঝা গেছে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে, ‘আমরা অবশ্যই জার্মানিতে জিততে যাচ্ছি। গোল করতে যাচ্ছি। রক্ষণ করার জন্য যাচ্ছি না। আমাদের বল মুভমেন্ট, প্রেস, বিল্ড আপ— সব ভালো করতে হবে আরও।’