• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গোসাইরহাটে ঢুবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু গোসাইরহাটে চেয়ারম্যান সমর্থকদের বিরুদ্ধে কৃষকদের ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ বাকেরগঞ্জে জাতীয় পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহীর মতিহার থানা এলাকার হোয়াইট কালার মাদকের গড ফাদার ‘অলি’ পোরশায় মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়নি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাকেরগঞ্জ এর ভরপাশায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ টি কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচল, অনুপোযোগী রাস্তাঘাট! নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের কমিটি ঘোষনা বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১ গুরুতর আহত -১ মডেল তাসনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আজ গীতিকবি মিলন খানের জন্মদিন




জন কেরির সফরে সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী ঢাকা

Reporter Name / ১৩২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের নিমন্ত্রণপত্র ঢাকা সফরে তুলে দেবেন জন কেরি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি আগামীকাল শুক্রবার কয়েক ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসছেন। মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে জলবায়ুবিষয়ক ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি থেকে ঢাকায় আসছেন জন কেরি। তবে ঢাকার কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, হোয়াইট হাউসের নতুন প্রশাসনের কোনো প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আগামীকাল দুপুরে দিল্লি থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে জন কেরি ঢাকায় আসবেন। সফরের শুরুতে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি একই স্থানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে যাবেন জন কেরি। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে জো বাইডেনের দেওয়া লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন গত ২৭ জানুয়ারি ঘোষণা দিয়েছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে তিনি একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন। ২২ ও ২৩ এপ্রিল ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারতসহ ৪০টি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ঢাকার কূটনীতিকেরা বলছেন, জন কেরির সংক্ষিপ্ত সফরের মূল বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন। তবে প্রাসঙ্গিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসহ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসতে পারে।

এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাঁর প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসছেন। জন কেরির সফর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে তাঁরা আশা করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের অনেক অর্জনও আছে। জন কেরির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কে আব্দুল মোমেনের দুই দফা কথা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত উদ্যোগে বাংলাদেশকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া অন্য বিষয়ে আলোচনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘জন কেরি যেহেতু মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত, তাই দুই দেশের সম্পর্কের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়তো এবার হবে না। তবে প্রাসঙ্গিকভাবে কিছু বিষয় চলে আসবে। পরিবেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা আলোচনায় আসতে পারে। রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের দেশের একটি অঞ্চলের পরিবেশের বিপর্যয় ঘটেছে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবে বড় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে ঘোষণা দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন। এ–সংক্রান্ত সব ধরনের আলোচনা থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুরোপুরি উল্টো। সাধারণত আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় বহুপক্ষীয় সহযোগিতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় আস্থাশীল। সেই জায়গাতেই যুক্তরাষ্ট্র আবার ফিরে গেছে বলে দেখতে পাচ্ছি।’

বাংলাদেশের একাধিক কূটনীতিক গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদককে জানান, জন কেরির ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ, বিশেষ করে কয়েকটি বিষয় তুলতে পারে, যা মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু অভিযোজনবিষয়ক একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কেন্দ্রটির অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। জন কেরির ঢাকা সফরের সময় কেন্দ্রের তহবিলে মার্কিন সহায়তার বিষয়টি বাংলাদেশ আলোচনায় তুলবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের কথা বলছে। বাংলাদেশ চায়, ঝুঁকি মোকাবিলা ও অভিযোজন দুটি ক্ষেত্রেই অর্ধেক করে তহবিলের বরাদ্দ রাখা হোক। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের গড়া জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইতে পারে বাংলাদেশ।

চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় ২৬তম জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ। জন কেরির ঢাকা সফরে বিষয়টি বাংলাদেশ আলোচনায় তুলবে বলে কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহযোগিতা, সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইতে পারে বাংলাদেশ।





আপনার মতামত লিখুন :

Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/deshytvn/public_html/wp-includes/functions.php on line 5583

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ