ভুলে ভরা ম্যাচে পেনাল্টির জন্ম দিয়েছে তিনটি সাথে আত্মঘাতী গোলও। ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
শুরুতে দাপটের সাথে রিয়াল ২৩ মিনিটে বেনজিমার গোলে এগিয়ে যায় কিন্তু স্বাগতিকরা জবাব দিয়েছে চার গোলে! যার বেশির ভাগই এসেছে ভার রিভিউয়ের কল্যাণে। এর মধ্যে কার্লোস সোলার তিনটি স্পট কিক থেকে গোল করেছেন। আরেকটি আত্মঘাতী গোল করেছেন রাফায়েল ভারান ।
ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই নানা ঝামেলা চলছিল লস ব্লাঙ্কোসদের। এদেন হ্যাজার্ডর করোনা আক্রান্ত, কাসেমিরোর না থাকা ফলে একাদশ নতুন করে গোছাতে বাধ্য হয়েছেন রিয়াল কোচ কিন্তুু শুরুতে তেমন সমস্যাও হয়নি। ভুলটা করে বসেন লুকাস ভেসকেস এবং বেনজিমার গোলের পর । হোসে গায়ার ভলি হাতে লেগে গিয়েছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বাঁশি বাজান।
পরে সোলেরের স্পট কিক রুখে দিয়েছিলেন কুর্তুয়া। ফিরতি বলে সোলার শট নিলে তা পোস্টে লেগে ফিরলে এবার জালে বল জড়ান ইউনুস মুসা। পরে অবশ্য ভার রিভিউতে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। মুসা ডি বক্সে আগেভাগে ঢুকে পড়ায়। সোলের পুনরায় স্পট কিক নিলে এবার আর বল আটকাতে পারেননি কুর্তুয়া।
ভার রিভিউর দ্বারস্থ হতে হয় বিরতির আগেও। ভ্যালেন্সিয়া খেলোয়াড়ের ক্রস ভারানের গায়ে লাগার পর গোললাইন অতিক্রম করেছিল কিনা সেটা জানতে রিভিউ করেছিলেন রেফারি। পরে অবশ্য আত্মঘাতী গোলে স্কোর লাইন ২-১ হয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়ার। এর পর দ্বিতীয়ার্ধেও নাটকীয়তার ধারা ছিল। আরও দুটি পেনাল্টি হজম করে নেয় রিয়াল। প্রথমে রিয়াল ডিফেন্ডার মার্সেলো সংঘর্ষে জড়ান ম্যাক্সি গোমেজের। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত এলে স্কোর ৩-১ করেন সোলের।
ভার রিভিউ আবারও বিপর্যয় নেমে আসে রিয়ালের। অনেকক্ষণ পর রিভিউতে দেখা যায় ডি বক্সে রামোসের হাতে বল লেগেছে। স্পট কিক থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করে নেন ভ্যালেন্সিয়া মিডফিল্ডার সোলের এবং লা লিগা ইতিহাসেও নাম লিখে ফেলেছেন সোলের। এক ম্যাচে তিন পেনাল্টিতে গোল করা তৃতীয় খেলোয়াড় তিনি।
এদিকে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে সোসিয়েদাদ এবং পরাজয়ে চারে নেমে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৮ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।