কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি (কীর্ত্তিকা সেন বিল্টু) : বন্যায় ভেঙ্গে গেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ধনিটারী ব্রীজ। বন্ধ হয়ে গেছে চলাচল। বাধ্য হয়ে এর উপরে বাঁশের সাঁকো দিয়েছেন স্থানীয়রা।
দিবারাত্রি অনেক মানুষের চলাচলে সেটিও নড়বরে হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় ভেঙ্গে গেছে চাটাই। তারপরেও অব্যাহত আছে মানুষের ঝুকিপুর্ন চলাচল। দুর্ভোগে এলাকাবাসী।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘‘কেয়ার বাংলাদেশ’’ ১৯৯৩ সালে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে মেসার্স আদম আলী ট্রেডার্সের মাধ্যেমে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তাই বিলের একটি নালায় ধনিটারী-রুইয়ারপাড় সড়কে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ধনিটারী ব্রীজ নির্মাণ করে। এটি ধরে চলাচল করে ওই ইউনিয়নের পাটেশ্বরী, ধনিটারী, বিদুয়াটারী, কবিরাজপাড়া, সরকারটারী, সর্দারটারী, পানাতিটারী, সেনপাড়া, অন্তাইপাড়, বড়মানী গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। এবারের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার প্রথমদিকে পানির তীব্র স্রোতে সেটি ভেঙ্গে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মানুষ। পানিতে নৌকা ও ভেলা ভাসিয়ে কিছুদিন চলে পাড়াপাড়। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্থানীয়রা ওই ব্রীজের উপর একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে শুরু করে যাতায়াত। এখন তার অবস্থাও জরাজীর্ন। বাঁশের চাটাইয়ের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পা ঢুকে রক্তাক্ত হয় পথচারী। অসাবধানতায় সেখান থেকে নিচে পড়ে আহত হয় অনেক মানুষ। বিকল্প পথ না থাকায় তারপরেও অব্যাহত আছে মানুষের ঝুকিপুর্ন চলাচল।
স্থানীয় হযরত আলী, আলম, গোলজার হোসেন, ছাবেদ আলীসহ অনেকেই জানান, শুধু ব্রীজের কারণে দুর্ভোগে আমরা। ব্রীজের পশ্চিমে অন্যের বাড়ী-ঘরে সাইকেল, রিক্সা, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাটাপায়ে খুব সাবধানে বাড়ী ফিরতে হয় আমাদের। দুর্ভোগ নিরসনে সেখানে দ্রুত একটি নতুন ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন তারা।
বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, জনস্বার্থে সেখানে একটি ব্রীজ নির্মান জরুরী। এ বিষয়ে সংশ্লিস্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।