লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড (এনআইডি) জালিয়াতির অভিযোগে হাছনা আক্তার নামে এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবী ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন দফতরে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করেছেন। যার স্মারক নং-জেপ্রশিঅ/লাল/এফ-সামঃ বরঃ/২০২০/১৬৭৩/৮ ।
মোছাঃ হাছনা আক্তার হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এছাড়া সে ওই বিদ্যালয় পরিচলনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ মুন্সির ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী।
জানা গেছে, মোছাঃ হাছনা আক্তার তার নিজ বড় বোনের দাখিল পাশের সনদপত্রে নিজের নাম অন্তভুর্ক্ত করে শিক্ষাগত ভুয়া সনদ এবং ভোটার আইডি কার্ড (এনআইডি) জালিয়াতি করে চাকুরি নেন। পরে ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়।
জাতীয়করণের জন্য লালমনিরহাট জেলা পুলিশ (বিশেষ শাখা) ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করেন। আর সেই তদন্তে হাছনা আক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড (এনআইডি) জালিয়াতির সত্যতা মেলে। যার স্বারক নং-৬৪৪/১০-২০২০, তারিখঃ ২৯/১০/২০২০ ইং।
এ বিষয়ে জানতে পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাছনা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন’।
পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচলনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ মুন্সি বলেন, ‘সে আমার ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সনদ ভূয়া কিনা আমার জানা নেই’।
হাতীবান্ধা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাছনা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে’।