আশরাফুজ্জামান খোকন (পঞ্চগড় প্রতিনিধি): পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা সদরে যাতায়াতে নৌকাই বাহন কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের। উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া হাট থেকে উত্তর দিকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট। নদী পার হলেই শুরু বড়শশী ইউনিয়ন। দুটি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। এতে সেতু না থাকায় বোদা উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে বড়শশী ও কাজলদীঘি-কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন।
এই দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে আউলিয়া ঘাটে ডিঙিনৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেতে হয় বোদা উপজেলা সদরে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এভাবেই পারাপার হতে হয়। আর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কোনো গাড়ি বিশেষ বিশেষ কাজে ওই এলাকায় যেতে হলে যেতে হয় পঞ্চগড় জেলা শহর দিয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে। আবার ওখান থেকে কোনো জরুরী রোগী চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ কিঃমিঃ বেশি রাস্তা দিয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় যেতে হয়। দীর্ঘ দিনের দাবি আর এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দেওয়া চাহিদা অনুযায়ী বারবার মাপজোখের পরও সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ কমছে না।
বর্ষাকালে এই দুই ইউনিয়নের মানুষদের বেশি কষ্ট পোহাতে হয়। করতোয়া পানি যখন বৃদ্ধি পায় তখন নৌকা চালাতে একটু অসুবিধা সৃষ্টি হয়। তার পরেও মানুষ ঝুকি নিয়ে তাদের আসা যাওয়া নিশ্চিত করে। এক স্কুল শিক্ষক বলেন র্দীঘ দিন থেকে শুনেছি এই আউলিয়ার ঘাটে একটি ব্রীজ হচ্ছে। আমার চাকুরী প্রায় শেষের দিকে আর মনে হয় ব্রীজের মুখ দেখা হবে না।
এ ব্যাপারে কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আালাল জানান, একটি ব্রীজের অভাবে আমার ইউনিয়নের মানুষের চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। আমি স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক বার আবেদন করেছি একটি ব্রীজের জন্য। শুধু মাপযোগ হয়।
বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের মানুষের একটাই দাবী আউলিয়ার ঘাটে একটি ব্রীজের। এই ব্রীজ হলে আমার ইউনিয়নের ব্যবসা বানিজ্যসহ স্কুল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের আর অসুবিধা থাকবে না। তাই আমি স্থানীয় এমপি সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।
এ ব্যাপারে বোদা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ও বড়শশী ইউনিয়নের মানুষের উপজেলা সদরে আসতে একটি ব্রীজের খুবই প্রয়োজন। আমি রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে একটি ব্রীজের জন্য মন্ত্রালালয়ে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা করেছি। মন্ত্রানালয় থেকে ব্রীজের অনুমোদন পেলে আমরা তা বাস্তাবায়ন করতে পারবো।